ঔষধ সেবনে pH এর গুরুত্ব

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - রসায়ন - রসায়ন- প্রথম পত্র | | NCTB BOOK

ঔষধ সেবনে pH এর গুরুত্ব প্রধানত এর দ্রবণীয়তা, শোষণ ক্ষমতা, এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে ঔষধের সঠিক কার্যকারিতা নির্ভর করে তা সঠিকভাবে দ্রবীভূত এবং শোষিত হওয়ার উপর। pH মান বিভিন্ন অঙ্গের পরিবেশে ভিন্ন হয়, যেমন পাকস্থলীতে এটি সাধারণত ১.৫-৩.৫, যেখানে অন্ত্রে এটি ৬-৭.৫। এই পরিবেশে ঔষধের দ্রবণীয়তা এবং শোষণ ভিন্ন ভিন্ন রূপ নেয়।

pH এর বিভিন্ন প্রভাব:

  1. দ্রবণীয়তা:
    কোনো ঔষধের এসিডিক বা ক্ষারীয় প্রকৃতি নির্ধারণ করে তা কোন pH এ বেশি দ্রবণীয় হবে। উদাহরণস্বরূপ, এসিডিক ঔষধ সাধারণত অ্যাসিডিক পরিবেশে দ্রবীভূত হয় এবং ক্ষারীয় ঔষধ ক্ষারীয় পরিবেশে।
  2. শোষণ ক্ষমতা:
    ঔষধ যদি দেহের pH পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তবে তা কম শোষিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যাসপিরিনের মতো অ্যাসিডিক ঔষধ পাকস্থলীর অ্যাসিডিক পরিবেশে ভালোভাবে শোষিত হয়।
  3. কর্মক্ষমতা:
    pH এর প্রভাব ঔষধের স্থিতিশীলতা এবং কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। pH-নির্ভর পরিবেশে অস্থিতিশীল ঔষধ অকার্যকর হতে পারে বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
  4. ঔষধ বিতরণ:
    রক্তে ঔষধের pH এর ভারসাম্য গুরুত্বপূর্ণ। রক্তের pH সাধারণত ৭.৩৫-৭.৪৫; এটি পরিবর্তিত হলে ঔষধের বণ্টন এবং প্রভাবিত হওয়ার ধরন পরিবর্তন হতে পারে।

এই কারণগুলোর ভিত্তিতে ঔষধ প্রস্তুতকারকরা pH এর গুরুত্ব বিবেচনা করে ফর্মুলেশন তৈরি করেন, যাতে তা সঠিক পরিবেশে কার্যকর হতে পারে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম হয়।

Content added By
Promotion